পিচের রাস্তায় মোরাম দিয়ে মেরামতির অভিযোগ : রাস্তার জন‍্য রাস্তা অবরোধ

25th November 2020 11:41 am হুগলী
পিচের রাস্তায় মোরাম দিয়ে মেরামতির অভিযোগ : রাস্তার জন‍্য রাস্তা অবরোধ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : পুজোর প্রাক্কালেই রাস্তার মেরামত হয়েছে । কিন্তু তারপরেই বেহাল ফের । অভিযোগ পিচের রাস্তা মেরামত করা হয়েছে মোরাম দিয়ে । তার ফলে একাধিক যানবাহনের যাতায়াতে মারাত্মক ধুলো উড়ছে । দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায় এবং নানা রকমের রোগের প্রকোপ বাড়ছে । এই অভিযোগ তুলে এলাকার পুরুষ , মহিলা সহ স্কুল পড়ুয়া বাচ্ছারাও পোষ্টার হাতে রাস্তা অবরোধে সামিল । ঘটনা হুগলীর শ‍্যামপুর পঞ্চায়েত এলাকার কুমারচকে । পুরশুড়ার কুমারচকের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচুর ট্রাক সহ অনান‍্য যানবাহনের চলাচল । রাস্তা মেরামত হলেও তাতে গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ । রাস্তা সারাই এর দাবীতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধে সামিল হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা । ঘটনাস্থলে হাজির পুলিশ ও । পুলিশের সামনেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী । রাস্তা সঠিকভাবে মেরামতির আশ্বাস না পেলে অবরোধ চলবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন । পরিবারের মহিলা সহ শিশুদের অত‍্যন্ত দুর্ভোগের মধ‍্যে পড়তে হচ্ছে । সকলে মিলে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন । অভিযোগ , ইতিপূর্বে জনপ্রতিনিধি সহ পঞ্চায়েতের কাছেও আবেদন করা হয়েছিল এ বিষয়ে কেউ পদক্ষেপ গ্ৰহণ করেন নি । তাই বাধ‍্য হয়ে আন্দোলনে নামলেন এলাকাবাসী । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।